ফিলিস্তিনের গাজাকে ‘নরকে’ পরিণত করার বিষয়ে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের হুমকির প্রতি সমর্থন জানিয়ে ইসরায়েলের যোগাযোগমন্ত্রী শ্লোমো কারহি বলেন, ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী গোষ্ঠী হামাসের জন্য নরকের সব দরজা খুলে দেয়ার সময় এসেছে।
বর্তমানে গাজায় যুদ্ধবিরতি চলছে। তবে ইসরায়েলের বিরুদ্ধে যুদ্ধবিরতি চুক্তি লঙ্ঘনের অভিযোগ তুলে হামাস জিম্মি মুক্তি স্থগিত করেছে। এরপর ট্রাম্প হুমকি দিয়েছেন, আগামী শনিবারের মধ্যে হামাস শর্তানুযায়ী জিম্মি মুক্তি না দিলে যুদ্ধবিরতি চুক্তি বাতিল করবেন তিনি। এতে গাজায় ‘নারকীয়’ পরিস্থিতি সৃষ্টি হতে পারে বলে সতর্ক করেছেন তিনি। গার্ডিয়ান
মঙ্গলবার (১১ ফেব্রুয়ারি) সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্স-এ শ্লোমো কারহি লেখেন, প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প যেভাবে বলেছেন, জবাবটা সেভাবেই দিতে হবে। মানবিক সহায়তা পুরোপুরি বন্ধ করে দিতে হবে। পানি, বিদ্যুৎ ও যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন করতে হবে এবং জিম্মিরা ফেরত না আসা পর্যন্ত চরম শক্তি প্রয়োগ করতে হবে।
তিনি আরও লেখেন, হামাসের জন্য নরকের সব দরজা খুলে দেয়ার সময় এসেছে। এবার আমাদের বীর যোদ্ধাদের ওপর কোনো বিধিনিষেধ থাকবে না।
গত ১৯ জানুয়ারি থেকে গাজায় যুদ্ধবিরতি কার্যকর হওয়ার পর এখন পর্যন্ত ১৬ জন জিম্মিকে মুক্তি দিয়েছে হামাস। যুদ্ধবিরতির প্রথম ধাপে মোট ৩৩ জিম্মিকে মুক্তি দেয়ার কথা রয়েছে। শনিবার আরও তিন জিম্মিকে মুক্তি দেয়ার কথা ছিল, তবে হামাস জিম্মি মুক্তির কার্যক্রম স্থগিত করার ঘোষণা দিয়েছে।
যুদ্ধবিরতির আগে গাজায় ১৫ মাসের বেশি সময় ধরে রক্তক্ষয়ী সংঘাত চলেছে। ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর থেকে শুরু হওয়া এই সংঘাতে গাজায় ৪৮ হাজারের বেশি ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন এবং আহত হয়েছেন ১ লাখ ১০ হাজারের বেশি মানুষ। অন্যদিকে, ইসরায়েলে হামাসের হামলায় ১ হাজার ১৩৯ জন নিহত হয়েছেন।